December 23, 2024, 7:48 pm
তামান্না আক্তারঃ গত ২৮ মার্চ ২০২৪ তারিখ ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন ছায়াবিথি আমতলা মোড় এলাকায় স্থানীয় ডেন্টাল কর্মচারী শহিদুল ইসলাম (২৪)’কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। এ সংক্রান্তে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল গত ১১ মে ২০২৪ খ্রি. তারিখ রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নুর আলম(২৪) @ টান আলম, জেলা-কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় অন্যতম আসামী ও হত্যাকারী ইমন তখন আত্মগোপন চলে যায়।
এছাড়াও গত ১১ মার্চ রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন সাভার বাজার রোডস্থ একটি মার্কেটের পিছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় কাঠ মিস্ত্রি সোহেল মোল্লা (২৫)’কে হত্যাকান্ড এবং গত ২১ মার্চ ২০২৪ খ্রি. তারিখ ঢাকা জেলার সাভারের সোবহানবাগ এলাকায় মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমজাদ হোসেন (৩৪) কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের অন্যতম পলাতক আসামী মেহেদী হাসান ইমন @ গিয়ার ইমন। সে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীসহ বরিশাল, ঝালকাঠি, জামালপুর এলাকায় আত্মগোপন করে। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ০৬ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র্যাব-৪ এবং র্যাব-১৪ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল জামালপুর সদর উপজেলার নুরুন্দী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মেহেদী হাসান ইমন গিয়ার ইমন (২২), জেলা-ঢাকাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে সাভার এলাকার সক্রিয় কিশোর গ্যাং গিয়ার ইমন গ্রুপের দলনেতা। সে ও তার গ্রুপের সদস্যরা মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। সে আরো জানায় গত ২৮ মার্চ ২০২৪ তারিখে মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে পথচারী শহিদুল ইসলাম (২৪) কে সুইচ গিয়ার দেখিয়ে জিম্মি করে। তারপর ভিকটিমের কাছে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন চাইলে ভিকটিম দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামী ইমন ও তার সহযোগী নুর আলম মিলে ধারারো সুইচ গিয়ার দিয়ে ভিকটিমের পেটে বিধিয়ে দেয়। তারপর যে যার মত পূর্বের ন্যায় আত্মগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ০৩টি হত্যা মামলাসহ আরো একাধিক ছিনতাই, মারামারি ও মাদকের মামলা রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।